শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
মাসুদ রানা:সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার, মাদক নিয়ন্ত্রন ও জঙ্গী দমন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, সমুদ্রসীমা বিজয়, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃত বিদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সহ সকল হত্যার বিচার, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, জেলেদের খাদ্যের সহায়তা, রপ্তানী আয় বৃদ্ধি, ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, স্বারতার হার বৃদ্ধি, রাজস্ব বৃদ্ধি, শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধি, আইসিটি তথ্য প্রযুক্তি সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি, বাংলা ভাষা আন্তর্জাাতিক স্বীকৃতি লাভ, বিনা মূলে বই বিতরণ, উপবৃত্তি প্রদান, কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মানের উদ্যোগ, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন, নারী অগ্রাধীকার, রেজিষ্ট্রেশন প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী করন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান।
বর্তমানে যে হারে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে তাতে দেশের কোথাও ঘন ঘন লোডশেডিং দেয়ার কারণ নেই। যা হচ্ছে তা বিদ্যুৎ বিভাগের কৃত্রিম সংকট আর খামখেয়ালীপনা। বিশেষ করে পিরোজপুর জেলার প্রতি গ্রাম পর্যায় যেভাবে লোডশেডিং আর অনিয়ম চলছে তা ধারণাতীত। পল্লী বিদ্যুতের এ অনিয়ম ও অব্যাবস্থাপনার বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ ফুঁসে উঠেছে। যে কারণে ম্লান হতে চলছে সরকারের সকল উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। যে ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন পিরোজপুর জেলার ২লাখ গ্রাহক।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকা ভিত্তিক অফিসের নিয়োগকৃত দালালের হয়রানী ২৪ ঘন্টার ১২ ঘন্টা লোডশেডিং বরফ মিল, স্ব-মিল, রাইস মিল সহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগ সাজস করে বিদুৎ বিল কম দেখিয়ে উৎকোচ গ্রহণ, নুতন সংযোগে আওতার বাইরে দুরত্ব দেখিয়ে ও খাম্বা দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা আদায় ও মিটার রিডিং ম্যান এলাকায় না গিয়ে ২/৩গুন বিল করার একাধীক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ,জি,এম খাইরুল হাসান এক বছর পূর্বে মঠবাড়িয়ায় যোগদান করে একটি দালাল চক্রের ছিন্ডিকেট করে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পরেন। অফিস টাইমে তার কাছে বিভিন্ন এলাকায় তার নিয়োগকৃত দালালরা চেয়ার দখল করে বসে থাকে হরেক রকম ফাইলের বাবদ মাশোহারা ভাগাভাগি করতে। এজন্য সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা তার কাছে কোন ভাল পরামর্শ না পেয়ে বরং দূর্ব্যবহারই পেয়ে থাকেন।
তিনি কতিপয় এলাকার দালাল ও ইলেকট্রিশিয়ানের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করে থাকেন। তার নিয়োগ দেয়া দালালরা হলো ওমর ফারুক, জামাল, মজিবর, মনা, রুবেল, আবু আকন, জসীম বয়াতী, রিপন, হরিদাস, মিরাজ, আঃ রশিদ, শাহিন, সহ অন্যান্য উপজেলায় আরও নাম না জানা অনেকে এরকম রয়েছে। তার বিরূদ্ধে একাধীক অভিযোগ রয়েছে কোন এলাকায় নতুন লাইন চালু করতে হলে মোটা অংকের টাকা তাকে উৎকোচ দিতে হয়। ভুক্তভোগীরা জানান, নতুন লাইন চালু করতে মাছ ব্যবসায়ী বাচ্চুর কাছ থেকে ১০ হাজার দঃ সোনাখালী বিদুৎ সংযোগ দেয়ার নামে আঃ রশিদ ও শাহিনের কাছ থেকে ৩৬ হাজার , বিদ্যুৎ মন্ত্রী ও চেয়ারম্যানের সুপারিশ থাকার পরেও, জানখালী ছোট মাছুয়ার ইউপি সদস্য বেলায়েতের কাছ থেকে ১৮ হাজার, উঃ মিঠাখালী শাহদাৎ হোসেন প্রিন্সের কাছ থেকে ৩৫ হাজার, চিত্রাপাতাকাটার ইউপি সদস্য নাছিরের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে। শাহদাৎ হোসেন প্রিন্স টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, পোনে দুই কিঃ মিঃ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে জালাল ঢালি গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০১৭ ইং সনে টাকা উত্তোলন করে।
যা থেকে এ জি এম খায়রুল হাসানকে ৩৫ হাজার ঠিকাদার জনিকে ৪৫ হাজার ও হরিদাসকে ৩০হাজার টাকা দিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সে যেখানে চাকুরী করেছে সেখানে ঘুষের অভিযোগে মানুষের ধিক্কার কুঁড়িয়েছেন ত্রবং সেখানেও ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্বে তদন্ত চলমান রয়েছে। তালতলা এলাকায় একটি ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে সেখানে একটি নুতন ট্রান্সফরমার দিয়ে ওই এলাকার বশিরের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে।এদিকে ইন্সপেক্টর জাফরুল্লাহ ও বিভূতী সরকার তাদের নিয়োগ দেয়া দালালের মাধ্যমে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অফিস যেন তারা ইজারা নিয়ে বৈধ ঘুষের হাট বসিয়েছেন।
বিশেষ করে মঠবাড়িয়া পাথরঘাটার ৯০হাজার গ্রাহকদের রক্তচোষা ও দুর্নীতীবাজ দালালের অভিভাবক এজিএম খায়রুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্তৃপরে কাছে তার অপসরণের দাবী জানান। পেশাদার দালাল জসীম বয়াতীও বসে নেই। এলাকাবাসীর ৬ লাখ টাকা মেরে দেয়ার পর তার অপকর্ম ঢাকতে নাম সর্বস্ব একটি পত্রিকায় প্রতিবাদ দিয়ে সংযোগ দেয়ার নাম করে পুনঃরায় তাদের কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ডি,জি,এম মকবুল আলমকে দুর্নীতির দায়ে নারায়নগঞ্জ থেকে শাস্তিমূলক মঠবাড়িয়ায় বদলী করা হলেও এখানে যোগদানের পর দেখছেন একটি সোনার হাঁস নিয়মিত ডিম দিচ্ছে অর্থাৎ এ জিএম খায়রুলের কাছে বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসতে থাকে শুধু অযাচিত টাকা। সে বদলীটি যেন সোনার হাঁস হয়ে ধরা দিল তার কাছে।
তা এখন পোষ মানাতে তিনি উঠে পরে লেগেছেন। অফিস সূত্রে জানা গেছে,এ জিএম খায়রুল পিরোজপুরের জিএম শংকর কুমারের আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে লাগামহীন ঘুষ বানিজ্য করে যাচ্ছেন। যে কারণে তিনি মঠবাড়িয়ার ডি জিএম মকবুল আলমকে ঠুঁটো জগন্নাথের সারিতে দেখছেন। পত্রিকায় জি এম ও এ জিএম এর দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সুধীজনের মন্তব্য দেয়ায় তাদের দিয়ে প্রতিবাদ দিয়ে তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমানিত করার জন্য মুঠোফোনে অনুরোধ সহ তাদের ম্যানেজ করার জন্য খায়রুল তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কোন কোন জায়গায় বিদ্যুৎ দেয়ার নামে স্থানীয় লোকদের কাছে এম.পি ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর লোক পরিচয় টাকা নিয়েছে সে এলাকার খবর এম পি জানতে পারলে সেসব জায়গায় নতুন সংযোগের কাজ স্থগিত রেখেছেন ও তাদের কঠোর ভাষায় সাশিয়েছেন। অথচ তিনি এ ব্যাপারে কাউকে টাকা না দেয়ার জন্য একাধীকবার মাইকিংও করিয়েছেন।
মঠবাড়িয়ার সিডি পট্টীর দোকানী মধু মিয়া জানান, আমার দোকানের মিটার রিডিং না দেখে অনুমান ভিত্তিক ৩মাসে ৯ হাজার ৬শত টাকা বিল কাগজ ধরিয়ে দেয়। যেখানে মাসে ৬/৭শত টাকা বিল হওয়ার কথা। এ নিয়ে অফিসে অভিযোগ করলে তা পরে সংশোধন করে দেন। পৌরসভার ১নং ওর্য়াডে বেপোরয়া একটি মাল বাহী ট্রাক সেলিমের বাড়ীর সামনে বিদ্যুতের খাম্বার সাথে ধাক্কা দিলে তা ভেঙ্গে যায়। অফিসের কথা অনুযায়ী এলাকাবাসী ১৫ হাজার টাকা অফিসে জমা দিলে সেখানে নতুন খুটি দেয়ার কথা থাকলেও সে টাকা নিয়ে ওই ভাঙ্গা খুটি পুতেঁ দেন।এক বছর অতিবাহিত হলেও লাইনটি অনেকটা নিচু হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। সেলিম জানান, বিদ্যুৎ অফিস আমাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নতুন খাম্বা দেয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তারা আমাদের সাথে কথা অনুযায়ী কাজ করেনি। আমড়াগাছিয়া এলাকায় সারে ৩কিঃ মিঃ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে ওই এলাকার পুলিন হালাদার টাকা উত্তোলন করেন। পুলিন হালদার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, পিরোজপুরের ঠিকাদার মিলনকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিবে বলে ৪৮ হাজার টাকা দিয়েছি। তাকে আরো ১২ হাজার টাকা দিতে হবে। গুলিশাখালীর অবসর শিক জি.এ সিদ্দিক জানান, আমার বাসার মিটার রিডিং না দেখে তারা অনুমান ভিত্তিক প্রতিমাসে দ্বিগুন বিদ্যুৎ বিল করছে। যা অফিসে একাধীকবার অভিযোগ করার পরও তারা আমলে আনছেন না। উপজেলা আওয়ামী
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস শাহীন বলেন, জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ষড়যন্ত্র হিসেবে আমি মনে করি তাদের দালাল জি.এম, ডি.জি.এম ও এ.জি.এম. এ ঘৃর্ন্য খেলায় মেতে উঠেছে এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আযান, নামাজ ও রমজানে তারাবির সময় বেশী বেশী লোডশেডিং যেন তাদের মোশাদের ন্যায় নিয়মিত রুটিন হয়ে গেছে। সরকার যে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে তাতে এতো ঘন ঘন লোডশেডিং দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। তাদের কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে একটি সাজানো ঘটনা দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের একটি বুঝ দেন। আমি মনেকরি পিডিবির সময় ছিল বিদ্যুতের ¯¦র্ণযুগ। সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী জি.এম, ডি.জি.এম ও এ.জি.এম. এর কর্তৃপক্ষের কাছে অতিশীগ্রই অপসরণের দাবী করছি। রিডিংম্যান প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, গ্রাহকদের অভিযোগগুলো অনেকটা সত্য। লোকবল সংকটের কারণে ৩০জন লোক দিয়ে সব এলাকায় কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার জনবল ও সাব অফিস কাকচিড়া, ডৌয়াতলা, চরদুয়ানী ও পাথরঘাটা এলাকায়। মঠবাড়িয়া পাথরঘাটায় পূর্বে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজারে। যে কারণে সামান্য জনবল দিয়ে এতবড় এলাকা মনিটরিং করা সম্ভব নয়। বিদুৎ ও জ¦ালানী বিশেষজ্ঞরা জানান, দক্ষিনাঞ্চলের প্রতিটি লাইনে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। ইলেট্রনিক্সের প্রতিটি পণ্য চালুর ক্ষেত্রে ২২০ ভোল্টেজ প্রয়োজন। অথচ সে ক্ষেত্রে আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি ১৬০/১৮০ ভোল্ট। চাহিদামাফিক ভোল্ট না পাওয়ার কারণে খুব অল্প সময়ই ইলেকট্রনিক্স পন্য গুলো নষ্ট হয়ে যায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রান্সফরমারের শক্তি অনুপাতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ধারন ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন মিটার সংযোগ দিচ্ছে। ইলেকট্রনিক্স ও ফ্রিজ মেকার শহিদুল ইসলাম জানান, কোরবানী মৌসুমে ৬০টি ফ্রিজের কম্প্রেসার নষ্ট হয়েছে শুধু লো ভোল্টেজের কারণে। কে.এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তারা মূলতঃ গ্রাহক সেবা ঠিকমত দিচ্ছে না। কোন ধরনের সমস্যা হলে তাদের ফোন দিলে তাও রিসিভ করেনা। লোডশেডিং ও অনুমান ভিত্তিক বিল করে পল্লী বিদ্যুৎ সরকারের ভাবমূর্তী নষ্ট করছে। এ.জি.এম খায়রুল হাসান বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন। মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফজলুল হক মনি বলেন, দঃ মিঠাখালী থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে ইব্রাহিম ও আলমগীর গ্রাহকদের কাছ থেকে এ.জি.এমকে দিতে হবে বলে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে। অনুরুপ উঃ মিঠাখালী মাঝেরপুল থেকে শাহদাৎ হোসেন প্রিন্স ও পল্লী চিকিৎসক হাফিজ প্রতিটি ঘর থেকে ৫-৭-৮ হাজার টাকা করে নেয়। এ বিষয় যে সব নেতারা প্রতিবাদ করেছেন তাদের কন্ঠ রোধ করতে পল্লী বিদ্যুতের জনগনের রক্তচোষা টোল তহবিল থেকে ওই সকল বাসায় আলিফ লায়লার দৈত্যের মত নিমেষে আই পি এস পৌছে যাওয়ার ঘটনা রয়েছে। তা ছারা অনেক রাঘব বোয়ালদের বাসায় অফিসের যোগসাজসে অবৈধ হিটার চুলা চলছে। বর্তমানে দেশ বিদ্যুতে সমৃদ্ধ হলেও কতিপয় দুর্নীতিবাজ অফিসার ও দালালের সিন্ডিকেটের কারণে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে তারা হারাতে বসেছে। মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর বলেন, লাইনে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে তারা রীতিমত বিদ্যুৎ দিচ্ছে না। যে কারণে জি. এম. ডি.জি.এম ও এ.জি.এম এরা সকলেই আমার দৃষ্টিতে অযোগ্য। পাথরঘাটার পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, আমার এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অনুমান ভিত্তিক বিল করে, এটি এভাবে দীর্ঘ মেয়াদী চলমান থাকায় একটি বিলের সাথে অন্যটির মিল না হওয়ায় পূর্বের তুলনায় ২/৩গুন হয়ে যায়। কোন কোন জায়গায় এক দু’মাস বিল দিতে না পারলেই লাইন কেটে দেয়া হয়। পুনঃরায় ওই সংযোগ পেতে নিম্নবিত্ত পরিবারের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জল বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ আমার এলাকায় তেমন একটা দুর্নীতি করতে পারে না। মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্দেশে আমি সরাসরি মাঠ পর্যায় তদারকি করি যে কারণে দালালের কোন স্থান নেই। অফিসের লোকদের সাথে নিয়ে আমি বাড়ী বাড়ী গিয়ে গ্রাহকদের সমস্যাগুলো শুনে তার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করি। তারপরও শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত হয়েছে বলতে পারবনা। ইতোমধ্যেই দুইজন লাইনম্যানকে দুর্নীতিরদায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের তিমিরাচ্ছন্ন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ দেয়া হবে। এতে যদি কারো বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে সে যেই হোক সরকার অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। আর যেসব অনিয়ম আছে তা নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপরে সাথে কথা বলব। সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, বিদুৎ সংযোগের নাম করে কোন দালাল বা অফিসার যদি কারো কাছ থেকে টাকা দাবী করে তাকে বেধে রেখে আমাকে অবহিত করবেন। দুর্নীতি গ্রস্থ অফিসারদের ব্যাপারে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। কয়েক জন খারাপ লোকের কারণে ৫ লাখ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে চাইনা। কারণ দুর্নীতি কখনো আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি।
Leave a Reply